শ্রীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী নিখোঁজ
বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রথম নিউজ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে তিন তলা ভবনের নিচ তলা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, মোবাইল ফোনে স্ত্রীর অসুস্থতার সংবাদ দেয়ার পর নিখোঁজ রয়েছেন স্বামী। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া গ্রামে রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাসলিমা আকতার (৩০) নেত্রকোনা জেলার সদর থানার পাটালি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় ৬ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে মো. আল আমিন (৩৪) কে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী এক ছেলে আছে। স্বামী- স্ত্রী পরিচয়ে ৪/৫মাস আগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন প্রধানের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে তারা দু’জনেই স্থানীয় কারখানায় কাজ করতো।
বাড়ির মালিকের মেয়ে সুমাইয়ার আকতার রিমা জানান, বুধবার সেহরী খাওয়ার পর নিহতের স্বামী আল আমিন তার ভাই মেহেদী হাসান রিমনকে মোবাইল ফোনে তাসলিমার অসুস্থতার কথা জানিয়ে খোঁজ নিতে বলে। রিমন উত্তরা থাকায় বিষয়টি তাদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে নিচ তলার ফ্ল্যাটে এসে বাহির থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পাওয়া যায়। পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বালিশে চাপা দেয়া অবস্থায় মুখে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। এসময় বিষয়টি পাশের রুমে ভাড়াটিয়াসহ কয়েকজনকে জানানো হয়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
নিহতের তাসলিমার মামাতো ভাই মো. রাসেল মিয়া জানান, তাসলিমার স্বামী নিজেকে অবসর সেনাবাহিনীর সৈনিক বলে পরিচয় দিতো। তবে আমরা কখনোর বিষয়টির সত্যতা পাইনি। তাসলিমার সাথে তার স্বামীর নানা বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। গত রোববার তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে আমরা পারিবারিক ভাবে তা মীমাংসা করে দেই। তবে কি কারণে কে বা কারা এমন কাজ করেছে তা নিশ্চিত নই, আমরা ধারণা করছি আল আমিনই তাসলিমাকে হত্যার পর পালিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে আটকের জন্য অভিযান চলছে, তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।