সরকার তলে তলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে : হেলাল

প্রথম নিউজ, খুলনা: বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, সরকার তলে তলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে অবৈধ সম্পদ রক্ষা করতে বাংলাদেশের জনগণকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে। দলের দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন জায়গার দেন-দরবার করছে।  

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী অনশনরত বিএনপি নেতাকর্মীদের ফলের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

আজিজুল বারী হেলাল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির সম্পদ নয়, তিনি সারা বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ। তার চিকিৎসা কোনো মানবিক বিষয় নয়, কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, তার চিকিৎসা সভ্যতা ও ভদ্রতার ব্যাপার। সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একাট্টা হয়েছেন। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরবেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে, অবৈধ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  

হেলাল বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খালেদা জিয়ার অবদান অতুলনীয়। তিনি কেবল সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীই নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের স্ত্রী। মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারের সহধর্মিণী। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ তার জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায়। কিন্তু সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের জীবন নিয়ে রাজনৈতিক নোংরামি শুরু করেছে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সরকারি টাকা ব্যয় করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় নির্বচনী তফসিল ঘোষণার আগে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে তিনি যে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন তার বিচার একদিন এদেশের মাটিতে হবে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনশনে কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় অনশন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু , স.ম আ রহমান, সাইফুর রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ রহমান, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়বুর রহমান,  চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি প্রমুখ।

অনশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন নাগরিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. বেল্লাল হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, খুলনা পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. শেখ মো. আখতার উজ জামান, বিএফইউজের সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সত্য গোপাল ঘোষ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ প্রমুখ।